বাংলাদেশের অন্যতম জাতের একটি আম ল্যাংড়া । বিখ্যাত জাতের এই আম ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সহ বেশ কিছু জায়গায় চাষ করা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের আম হিসেবে ল্যাংড়ার নাম রয়েছে প্রথম সারিতে।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল তথা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ ও নাটোরে প্রচুর পরিমাণে ল্যাংড়া আমের চাষ করা হয় । এই আম পাকার পর খানিকটা হলদে রঙের হয়ে থাকে। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই আম পাকতে শুরু করে এবং জুলায় মাসের প্রথম/দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া যায় (স্থানভেদে ভিন্ন)।
নাম ল্যাংড়া হলেও এই আম খুব সুস্বাদু এবং এর চমৎকার একটা মিষ্টি গন্ধ রয়েছে। ভোক্তা সাধারনের কাছে খুব বেশি প্রিয় আমটি গাছেপাকা থেকে বাসায় রেখে পাকিয়ে খেলে এর আসল স্বাদ পাওয়া যায়। ল্যাংড়ার মিষ্টতা (টিএসএস) ১৭ থেকে ১৯ শতাংশ । সাধারণত ৩ থেকে ৪/৫ টা আমের ওজন এক কেজির হয়ে থাকে। ছোটগাছ, বড়গাছ অনুসারে আমের ফলন একেক রকম হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এমনও ল্যাংড়া আমের গাছ আছে এক গাছে এক থেকে দেড় মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়।
অতএব, ক্রেতার পছন্দ ও গুণাগুণ এবং অন্যান্য কিছু বিষয় বিবেচনায় ল্যাংড়া আমের তুলনা হয় না।
আম পরিচিতি-১/ ল্যাংড়া
বিভিন্ন জাতের আমের নাম:
পৃথিবীতে আমের প্রায় কয়েকশ জাত রয়েছে।১. ফজলি,
২. ল্যাংড়া,
৩. গোপালভোগ,
৪. খিরসাপাত,
৫.অরুনা,
৬.আম্রপালি,
৭.মল্লিকা,
৮.সুবর্নরেখা,
৯.মিশ্রিদানা,
১০.নিলাম্বরী,
১১.কালীভোগ,
১২.কাঁচামিঠা,
১৩.আলফানসো,
১৪.বারোমাসি,
১৫.তোতাপুরী,
১৬.কারাবাউ,
১৭.গোপাল খাস,
১৮.কেন্ট,
১৯.সূর্যপূরী,
২০.পাহুতান,
২১. ত্রিফলা,
২২. হাড়িভাঙ্গা,
২৩. ছাতাপরা,
২৪. গুঠলি,
২৫.লখনা,
২৬.আদাইরা,
২৭.কলাবতী ইত্যাদি।