ব্যনানা ম্যাংগো পরিচিতি || আম পরিচিতি । পর্ব -৪

গত কয়েক বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বিপ্লব ঘটেছে। আমের বাগান বৃদ্ধির পাশাপাশি কয়েকটি নতুন জাতও উদ্ভাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু জাতের আম সম্প্রসারিত হয়েছে। এর মধ্যে বারী-৩, বারী-৪, বারী-১০, বারী-১১, হাঁড়িভাঙ্গা, গৌড়মতি ও ব্যানানা ম্যাংগো উল্লেখযোগ্য। তবে ব্যানানা ম্যাংগোর (দেখতে কলার মতো) প্রতি মানুষের কৌতূহল একটু বেশিই। স্বাদে-গন্ধে অনন্য এ আমের দামও বেশি। তেমনি এর চাষের পদ্ধতিও সহজ। বাজারে ব্যাপক চাহিদার পাশাপাশি চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এ আমের বাগানের সংখ্যাও। রপ্তানিযোগ্য নাবি জাতের এই আমের ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

৩৫০ থেকে ৪৫০ গ্রাম ওজনের আমটি ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যের কারণে এরই মধ্যে চাষিদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। চাষপদ্ধতি সহজ হওয়ায় এ আম চাষ করে আর্থিক সচ্ছলতার মুখ দেখছে চাষিরা। দেরিতে পাকার কারণে দামও বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণত জুলাইয়ের পর থেকে বাজারে যখন ভালো মানের আমের সরবরাহ কমে আসে, তখন অর্থাৎ আগস্টের প্রথম দিকে পাওয়া যায় এ আম। স্বাদে আম্রপালি, ল্যাংড়া ও হিমসাগরের মতোই। তবে দামটা একটু বেশি। ব্যানানা ম্যাংগো অন্তত ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে।
এ আম চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে সফল হবেন চাষিরা—এমনটাই বলছেন ফল গবেষকরা। এ জাতটি নজর কেড়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগেরও।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যান প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম জানান, ২০১০ সালে থাইল্যান্ড থেকে এ জাতের ডগা নিয়ে এসে প্রথমে গ্রাফটিং করা হয়। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে প্রথম সাফল্য আসে। এরপর প্রতিবছর নিয়মিত আম আসায় ২০১৫ সালে বাণিজ্যিকভাবে কৃষকদের মধ্যে এ আমের সম্প্রসারণকাজ শুরু হয়।

##
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post