ভেষজ নিয়ে কাজ করে সফল উদ্যোক্তা ডালিম || চাঁপাই পোস্ট

দৈনন্দিন জীবনে বেঁচে থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণ করে থাকি। কিন্তু ভেজালমুক্ত খাবার খাচ্ছি কিনা তা আমরা বলতে পারিনা। আজকাল সব খাবারের সাথে ভেজাল যুক্ত করে সে খাবার খেয়ে ক্রমাগত আমরা অসুস্থ জীবনযাপন করছি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস যেমন শরীর সুস্থ রাখে তেমনি ভেজাল খাদ্য খেয়ে আমাদের গড় আয়ু দিন দিন কমে যাচ্ছে যা আমরা টেরই পাচ্ছিনা। ভেজাল খাদ্য থেকে মুক্ত করতে পরিবার ও দেশবাসীকে নিরাপদ খাদ্যে ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সেইফ ফুড ও প্রাকৃতিক ভেষজ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার সামাউন রেজা ডালিম।

ডালিম বলেন, বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য এবং অসুস্থ হলে ঔষধ আমরা প্রকৃতি থেকে পেয়ে থাকি। খাদ্য
আমাদের রাসায়নিক মুক্ত আঁশ জাতীয় সবজি স্টোরয়েড/­এন্টিবায়োটিক মুক্ত প্রোটিন শরীরের জন্য প্রয়োজন। যেমন ধরুন আমলকি আমরা ভিটামিন সি হিসেবে সাধারণত কাচা যে কোন সময় খেয়ে থাকি, যদি পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস অম্ল এসিডিটি ক্ষুদামন্দা জন্ডিস হয় তাহলে আমলকি দিয়ে তৈরি ঔষধ আমলকি রয়ায়ন খেতে হবে।যা প্রকৃতি থেকে পাচ্ছি সম্পূর্ণ নিরাপদ।
খাদ্য ভেজাল থেকে মানুষকে মুক্ত করতে ডালিম ২০১৮ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন মধু, ঘি ছাতু, তৈল, আটা, চাল ও ভেষজ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। নিজ উদ্যোগে ও স্ত্রীর সহায়তায় এ ব্যবসা থেকে তিনি দারুণ সাড়া পেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে
Mehmet Safe Food & Nutrition নামে একটি পেইজ রয়েছে সেখান থেকে তিনি ক্রেতাদের অর্ডার গ্রহণ করে থাকেন। এখন বছরে আড়াই লক্ষ টাকার বেশি আয় করেন। 


এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনা করেছেন ডালিম। ছোটবেলায় ১৯৯৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত চরম দারিদ্র্যতার শিকার হয়েছেন। ছোট থেকে পরিশ্রম করে দারিদ্র্যতার সাথে লড়াই তিনি আজ এ পর্যায়ে এসেছেন। বর্তমানে নুর মজিদ আয়ুর্বেদ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল (ডি এ এম এস) অধ্যয়নরত আছেন এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডে (ডেসকো) জব করছেন।

একটি ব্যবসা ধরে রাখতে হলে কি করা উচিৎ এমন প্রশ্নের উত্তরে সামাউন বলেন, পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখতে হবে এবং রিপিট কাস্টমার তৈরি করতে হবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, যে বিষয় নিয়ে কাজ করবে সে বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিয়ে, নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে কাজ করতে হবে তবেই সফলতা মিলবে।

.
চাঁপাই পোস্ট ডেস্ক 
তাহসিন মিম,
শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post