চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর উপজেলার প্রয়াত ডা. ইয়াসিন আলীর সন্তান হাবিবুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) হতে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্ট্রি বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান। মেধা তালিকায় তিনি ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড হয়েছিলেন। এরপরে তিনি জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োটেকনোলজিতে পোস্ট গ্রাজুয়েট করেন । পিএইচডি সম্পন্ন করেন মলিকুলার বায়োলজিতে ওকাইয়ামা বিশ্ববিদ্যালয় (MONBUSHO স্কলারশিপ) জাপান থেকে। (Postdoctoral UK থেকে ইউরোপো ইউনিয়ন scholarship এ। উল্লেখ্য উক্ত scholarship টি প্রতি বছর একজন দেয় পুরো World এ। সুতরাং তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র এবং শিক্ষক)
এ ছাড়াও তিনি ওমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বছর লিয়েনে প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। হাবিবুর রহমানের ৫০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত বলে জানা গেছে।
কর্মজীবনে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং বায়োকেমিস্ট্রি এবং শারীরিক শিক্ষা ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
বর্তমানে তিনি স্টিয়ারিং কমিটি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, রাঃবিঃ এর কনভেনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কয়েক দিন আগে ভিসি নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির তিন শিক্ষকের নামের তালিকার একটি সামারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এই সামারি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য প্রস্তুত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো সময় এই ফাইলে স্বাক্ষর করবেন।
জানা যায়, ভিসি নিয়োগের জন্য তিন শিক্ষকের প্রথমেই রয়েছে অধ্যাপক হাবিবুর রহমানের নাম। আর রীতি অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রথমজনকে মনোনীত করা হয়। এই তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস এবং ৩ নম্বরে পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
উল্লেখ্য এ বছর ৬ মে বহুল আলোচিত-সমালোচিত ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে রাবি উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে। অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান সে আসন শীঘ্রই পূরণ করতে যাচ্ছেন।