ভার্চুয়্যাল রিয়্যালিটি। মোঃ মিসাদ আলী । সাহিত্য পাতা


মধ্যরাত, গভীর ঘুমে মগ্ন আলফী। হঠাৎ কিছুর শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তার। তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে উঠে বাইরে আসে, কিন্তু সারা বাড়ি খুঁজেও কিছু না পেলে আবার রুমে এসে শুয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার হারিয়ে যায় ঘুমের রাজ্যে। এবার আর আগের মতো নয়, একটা ভিন্ন শব্দ শুনতে পায় সে, কোন হিংস্র জন্তুর শব্দ। চোখ মেলে দেখে, সে শুয়ে আছে জঙ্গলের মাঝে। তার সামনে চার পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক অদ্ভুত জন্তু, শিকারকে সামনে পাওয়ার আনন্দও স্পষ্ট তার চোখে।
প্রচন্ড ভয়ে আঁতকে উঠে আলফী। তাড়াতাড়ি দৌড় দিতে যাবে কিন্তু সেই সময় দেখে তার পায়ে শেকল পরা। জন্তুটি ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে তার দিকে। ভয়ে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারায় সে।
সকালে নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করে। সে ভাবে, এতক্ষণ তাহলে স্বপ্ন দেখছিল। বিছানা ছেড়ে উঠতে যাবে এমন সময় পায়ের দিকে খেয়াল হলো তার । পায়ে কালচে দাগ পড়ে আছে, যেন শক্ত করে বাঁধা ছিল তার পা। ভয়টা আবার ঘিরে ধরে থাকে তাকে।
এক সপ্তাহ ধরে ঠিক এমনটাই হচ্ছে প্রতি রাতে। তার কাছে এটা এখন স্বাভাবিক বিষয় এমনটা না হলে যেন অস্বাভাবিক।
ঘটনার শুরুর ১২ দিনের মাথায় আলফীর রুম থেকে তার মৃতদেহ বের করে পুলিশ। কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাকে, কিন্তু সেই অস্ত্র খুঁজে পায়নি তারা।
কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায় একটা চিরকুট। যেটায় লিখা আছে, নতুন পদ্ধতিতে ভার্চুয়্যাল রিয়্যালিটির ব্যবহারে হত্যা সফল হলো।
পরদিন সকালে বিজ্ঞানী শরীফকে প্রমাণসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।
সমাপ্ত!
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post