গল্পের শুরু ২০২০ সালের মে মাসে যখন করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান(কলেজ) বন্ধ ছিল। বাসায় বসে থেকে বিরক্তি ভাব চলে আসায় সময়কে কাজে লাগাতে শুরু করেন আঁচার নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা। মাত্র ৩৫০ টাকা পুঁজি আর মায়ের আন্তরিক সহযোগীতায় আফরিনের পথ চলা শুরু হয়। মে মাসের ২৩ তারিখে প্রথম ১৫০ টাকার আচার বিক্রি করেন তিনি।
অনলাইনে (ফেসবুক) তার পণ্যসমূহের ছবি ও বিবরণ দিয়ে প্রচারণা চালাতে থাকেন আর অর্ডার পেতে থাকেন রংপুর, সিলেট, ঢাকা, কুমিল্লা, খুলনা, লক্ষীপুর, রাজশাহী, বগুড়া, চট্টগ্রাম, নাটোর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন জায়গা থেকে।
ফেসবুকে তার বিজনেস পেজ Arefin's Achar থেকে এবং ফেসবুকে বেচাকেনা ও প্রচারের পাবলিক গ্রুপ "চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজনেস প্ল্যাটফর্ম" থেকে অনেক সাঁড়া পেয়েছেন বলে তিনি জানান । তিনি আরো জানান প্রচারণার সাথে সাথে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একই রকম অর্ডার পাচ্ছেন আর ক্রেতার চাহিদা অনুসারে পণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছেন।
ব্যবসা করতে গিয়ে কোন খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন কি-না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন অনেকেই আচার নিবো বলে নেই না, বার বার ঘুরাতে থাকে আজ না কাল, কাল না পরশু নিবো এই করে করে, শেষে আর নেয় না! কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি এমন এক প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছি যেটা পঁচে যাওয়ার না, তাই মানুষে হেস্তনেস্ত করলেও আমি হেরে যাই না বরং সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাই।
ভবিষ্যতে চাকরি না হলেও তিনি যেন নিজে স্বাবলম্বী থাকতে পারেন, বাংলাদেশের মধ্যে একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের কর্মসংস্থান করতে পারেন সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
উল্লেখ্য, আফরিন বর্তমানে আম, বরই, তেঁতুল, কদবেল সহ বিভিন্ন ফলের আঁচার, আমসত্ত্ব বিক্রি করে মাসে প্রায় ৮ হাজার টাকা আয় করছেন ।